Posts

লাইপোমা বা টিউমারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

Image
  লাইপোমা ( LIPOMA)  কার্যকরি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সমূহ: লাইপোমা হচ্ছে শান্ত বা নির্দোষ চর্বিযুক্ত টিস্যু দিয়ে তৈরি টিউমার।  চর্বি বা ফ্যাট:  মানব দেহে ফ্যাট বা চর্বি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বকের নীচের ফ্যাট বা সাব কিউটেনাস ফ্যাট আমাদের  শরীরকে তাপ-শৈত্যের প্রভাব থেকে রক্ষা করে। প্রত্যেকের শরীরে এই চর্বি বা ফ্যাট কম বা বেশি পরিমাণে  আছে। আর ত্বকের নীচের এই ফ্যাট বা চর্বি মাঝে মাঝে শরীরের সাথে  প্রতিকূলাচরণ করে। যখন  ফ্যাট টিস্যু শরীরের এক যায়গায় অথবা শরীরের বিভিন্ন যায়গায় জমা হয়ে গুটির আকার ধারণ করে  এক ধরনের চর্বি জাতীয়  টিউমার ( লাইপোমা) তৈরি করে।ত্বক ও মাংসপেশির মাঝে সৃষ্টি হয় লাইপোমার। লাইপোমাগুলোতে হাত দিয়ে স্পর্শ করলে নরম  অনুভব হয়, আঙুল দিয়ে চাপ দিলে এটি নড়াচড়া করে।তবে কিছু ক্ষেত্রে লাইপোমাগুলো শক্ত হয়, কিন্তু নড়াচড়া করে। সাধারণতঃ লাইপোমা ব্যথা হয় না। কিন্তু লাইপোমাগুলো   বড় হলে রক্তনালি( Blood vessels) বা স্নায়ুকোষ ( Nerve cells)'এ চাপ পড়লে   ব্যথা হতে পারে। লাইপোমা সাধারনতঃ এক সেন্টিমিটার ব্যাসে...

এপিডিডাইমাল সিস্ট Epididymal Cyst হোমিও চিকিৎসা

Image
এপিডিডাইমাল সিস্ট  Epididymal Cyst  পুরুষদের অন্ডকোষের রোগ। পুরুষদের প্রতিটি টেস্টিসের বা অণ্ডকোষের উপরের অংশ যেখানে শুক্রাণু সংরক্ষিত হয় তাকে এপিডিডাইমিস বলে। এর মাধ্যমে শুক্রাণু টেস্টিকল থেকে স্পার্মাটিক নালীতে যেয়ে থাকে। এতে কোন ধরনের অস্বাভাবিক থলি বা সিস্ট ডেভেলপ করলেই তাকে এপিডিডাইমাল সিস্ট  Epididymal Cyst  বলা হয়। এপিডিডাইমাল সিস্ট  Epididymal Cyst  উপসর্গ ছোট আকারের কারণে প্রথমে এপিডিডাইমাল সিস্টের লক্ষণগুলি অনেকের ক্ষেত্রেই বুঝা যায় না। তার বৃদ্ধির সময় ব্যথা অনুভব করতে শুরু করে, এক সময় প্রসারিত সিস্টটি স্নায়ু এবং রক্তনালীগুলি সংকুচিত করতে শুরু করে। আরো যে যে লক্ষণগুলি দেখা যায়- অণ্ডকোষে বা এপিডিডাইমিসে ব্যথা হয় অণ্ডকোষ বা কুঁচকি ফোলে যেতে পারে স্থানটি গরম হয়ে থাকতে পারে মলত্যাগ করার সময় ব্যথা অনুভব করুন বীর্যপাতের সময় বা যৌন মিলনের সময় ব্যথা কারো কারো ক্ষেত্রে জ্বালাপোড়া হতে পারে বেশি বড় হয়ে গেলে হাঁটতে অসুবিধা জ্বর এবং আরও প্রদাহ হতে পারে এপিডিডাইমাল সিস্ট  Epididymal Cyst  জটিলতা কারো কারো ক্ষেত্রে কোন সমস্যা ...

মূত্রনালী সরু বা চিকন হয়ে যাওয়া। Urethral stricture। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। -Dr. Abdul Mannan

Image
 

থাইরয়েডের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা?

Image
  থাইরয়েডের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা? Hypothyroidism  :  Thyroid gland  যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম হরমোন উৎপাদন করে তখন তাকে হাইপো থাইরয়েডিজম বলে। এটি একটি  Autoimmune disease  যা থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কে ধ্বংস করে দেয়।  hypothyroidism  এর ফলে বয়ষ্কদের  myxedema  এবং শিশুদের  cretinism  হয়। কারণ  :  Thyroid gland  এর নিঃসরণ কমে যাওয়া, শরীরে আয়োডিন এর ঘাটতি, থাইরয়েডাইটিস এ রোগের প্রধান  কারণ।   Myxedema এর লক্ষণ :  চোখের নিচ, মুখ ফুলে যায়। Atherosclerosis   Anaemia   Menorrhagia and polymenorrhoea Cardiovascular function  কমে যায়  ঘুন বেশী হয়। দেহের ওজন বেড়ে যায়।  মানসিক বিষন্নতা দেখা দেয়। ইত্যাদি। এবারে আসি রোগীর খাদ্য তালিকা প্রসঙ্গে। রোগীকে অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে।  আয়োডিন যুক্ত খাদ্য- থাইরয়েড রোগীদের খাদ্য তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণ আয়োডিন যুক্ত খাদ্য থাকা  উচিত, কারণ আয়োডিন রক্তে থাইরয়েড এর কাজকে প্রভাবিত করে। সামুদ্রিক খাবার আয়োডিন এর খুব ...

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে যে সকল নিয়ম কানুন মানা উচিত?

Image
  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে যে সকল নিয়ম কানুন মানা উচিত? হানিম্যান তাঁর ক্রনিক ডিজিজ গ্রন্থে রোগীর পথ্যাপথ্য সম্বন্ধে একটা তালিকা দিয়েছেন । তাঁর অর্গানন গ্রন্থেও এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত উল্লেখ আছে। কিন্তু এই বিষয়ে তার সবচেয়ে মূল্যবান উপদেশ বলে আমি যেটা মনে করি সেটাই প্রথমে আলোচনা করছি।  হ্যানিম্যান বলেছেন রোগীকে আরোগ্য করাই যখন চিকিৎসকের একমাত্র ব্রত তখন পথ্যাপথ্য এবং আনুষঙ্গিক নিয়মাবলী সম্পর্কে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসককে অবশ্যই রোগীর অবস্থা এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশ উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে রোগীর স্বার্থেই বিধি-নিয়মের কড়াকড়ি যথেষ্ট শিথিল করে রোগীর অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে নিতে হবে। রোগীর পক্ষে মেনে চলা সম্ভব নয় এমন সব বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি করলে আরোগ্য লাভ তো দূরের কথা রোগীর পক্ষে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করাই হয়তো সম্ভব হবে না। অনেকের ধারণা বিধি-নিষেধের কড়াকড়ির ফলে আরোগ্য ত্বরান্বিত হবে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় তার ফল হয় বিপরীত। কফি খাওয়া ক্ষতিকর বলে হ্যানিম্যান বলেছেন। কিন্তু কোন ব্যক্তি হয়তো শিশুকাল থেকেই কফি খেতে অভ্যস্ত। ...

হোমিওপ্যাথি যেভাবে দ্রুত কাজ করে

Image
  যেকোনো ছোট বা জটিল শারীরিক সমস্যায় অনেকেই আছেন অ্যালোপ্যাথির পরিবর্তে ভরসা রাখেন হোমিওপ্যাথিতে। আজকের আয়োজন মূলত তাদের জন্য। হোমিওপ্যাথি মূলত বিভিন্ন উদ্ভিদের থেকে সংগ্রহ করা রস। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে অনেকে মনে করেন। তবে নিয়ম না মেনে খেলে এ ওষুধ থেকেই হতে পারে নানান শারীরিক সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায়, ওষুধ খাওয়ার পর তা কাজ করছে না। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন তা কি জানা আছে? মনে রাখবেন, যখনই হোমিওপ্যাথি খাওয়া শুরু করবেন, তার দুই সপ্তাহ আগে থেকেই নিজের শরীরকে এ ওষুধের জন্য তৈরি করে নেবেন। কোনোরকম নেশাজাতীয়  বদভ্যাসে যুক্ত থাকলে তা ছেড়ে দিতে চেষ্টা করুন। একেবারে না পারলে অন্তত ওষুধ খাওয়ার জন্য এক মাস বন্ধ রাখুন। এ ছাড়া আরও যে ভুলটি অনেকেই করে তা হলো, হোমিও চিকিৎসা নেয়ার পাশাপাশি  অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাও চালিয়ে যান। মনে রাখবেন, একই সঙ্গে দু-ধরনের ওষুধ খেলে কোনো ওষুধেরই কার্যকারিতা শরীরে হয় না। হোমিওপ্যাথি খাওয়ার আগে পানিতে ভালো করে মুখ কুলকুচি করে নিন। বিশেষত কিছু খাওয়ার পর মুখ না ধুয়ে কখনোই ওষুধ খাবেন না। হোমিও ওষুধ খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে কিছু খাওয়া যাবে না। এ...

সাধারণ শ্বাসকষ্ট না হাঁপানি? এই ৫ লক্ষণ দেখে বুঝুন

Image
  হাঁপানির ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষই বুঝতে পারেন না তিনি আক্রান্ত হয়েছেন যেকোনো রোগ প্রাথমিক লক্ষণ দেখে শনাক্ত করা গেলে যথাযথ সময় চিকিৎসা শুরু করা যায়। ফলে এড়ানো সম্ভব হয় জটিলতা। হাঁপানির ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষই বুঝতে পারেন না তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণ শ্বাসকষ্ট ভেবেই অনেকে এড়িয়ে যান। তাই অ্যাজমা বা হাঁপানির এই ৫ লক্ষণ জানা থাকা জরুরি। ১. শ্বাসকষ্ট : হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর একটি শ্বাসকষ্ট। শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে গেলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। ২. বুকের মধ্যে শনশন শব্দ : হাঁপানিতে প্রদাহের কারণে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে যায়। তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাস সরু শ্বাসনালি দিয়ে বের হওয়ার সময় বাঁশির মতো শনশন (হুইজিং) আওয়াজ শোনা যায়। ৩. কাশি : হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ কাশি। ধুলাবালু, ধোঁয়ার মতো উপাদানগুলো হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়। যখন এই ক্ষতিকর মাইক্রো-পার্টিকেল শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে, তখনই প্রদাহ হয়। তা ছাড়া এগুলো স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে, যা মস্তিষ্ককে সংকেত দেয় কাশির মাধ্যমে ফুসফুস থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য। ৪. বুকে চাপা ভাব :...